জাপানে নতুন সরকার গঠনে অনিশ্চয়তা
২৯ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৩ এএম

জাপানের পরবর্তী সরকার গঠনে নতুন চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে। গতকাল প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সমালোচিত জোট সরকারের বিরুদ্ধে জনমত বৃদ্ধির প্রতিফলন দেখা গেছে। ফলে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশকে নেতৃত্ব প্রদানের জন্য কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে সক্ষম হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা ক্ষমতা গ্রহণের পরই পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন। সেই নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে তার দল এলডিপির। তা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন ইশিবা। গতকাল সোমবার এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
রোববারের নির্বাচনে ইশিবার (৬৭) লিবারাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি তাদের ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ ফল করেছে। ১৯৫৫ থেকে জাপানের শাসনভার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এলডিপির কাছে থেকেছে। বিশ্লেষকদের মতে, আর্থিক কেলেঙ্কারির তথ্য প্রকাশ্যে আসায় ভোটাররা এক কালের জনপ্রিয় দলটিকে ‘শাস্তি দিয়েছেন।
দেশের অর্থনৈতিক লক্ষ্য ধরে রাখতে সরকার গঠন ও সম্ভাব্য নতুন নেতা নির্বাচনের জন্য কয়েক সপ্তাহ ধরে ক্ষণ গুণছিলেন বিশ্লেষকরা। কিন্তু বর্তমান অনিশ্চয়তায় ইয়েন মুদ্রার মান তিনমাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। ইতোমধ্যেই একাধিক মাথাব্যথার কারণ রয়েছে জাপানের। একদিকে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা লক্ষ্যমাত্রা চেয়ে পিছিয়ে আছে, অন্যদিকে রয়েছে নিরাপত্তা ইস্যুতে চীন ও উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি। আবার মাত্র এক সপ্তাহ পরেই জাপানের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সবমিলিয়ে একরকম অনিশ্চিত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দেশটির সামনে। পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে আসন হারিয়েছে ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি) ও তার জোটসঙ্গী কোমেইতো। ২৭৯ আসন দখলে থাকা জোট জিতেছে মাত্র ২১৯টি। কোমেইতোর প্রধান কেইচি ইশি ও মন্ত্রিপরিষদের দুই সদস্য তাদের আসন হারিয়েছেন।
এদিকে, ভোটে চমক দেখিয়েছে প্রধান বিরোধী পক্ষ কনস্টিটিউশনাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অব জাপান (সিডিপিজে)। আগের নির্বাচনে ৯৮ আসন পাওয়া দল এবার পেয়েছে ১৪৮টি। সরকার গঠনের জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে অন্তত ২৩৩টি আসন প্রয়োজন। কোনো দলই তা অর্জনে সমর্থ হয়নি। জাপানে আর্থিক কেলেঙ্কারি ও মূল্যস্ফীতির কারণে এলডিপি জোট সরকার ব্যাপক সমালোচনার মুখে আছে। তার প্রভাবই দেখা যাচ্ছে জনগণের ভোটে। সংবিধান অনুসারে, সরকার গঠনের জন্য সমঝোতায় আসতে দলগুলোর হাতে সময় আছে ৩০ দিন। ছোট দলগুলোও এবার যথেষ্ট আসন লাভ করেছে। ফলে আলোচনায় তারাও প্রভাব বিস্তার করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সূত্র : রয়টার্স ও এএফপি।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

ফের বর্ষসেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার জিতে মার্তিনেসের ইতিহাস

বেনাপোল কাস্টম হাউসে ৩ মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৩৯ কোটি ৪২ লাখ টাকার রাজস্ব আয় কম

ঘটনাস্থলে ছিলেনই না আফিয়া সিদ্দিকী : তবে কি দুইযুগ পর তাকে মুক্তি দিবে আমেরিকা!

মধ্যপ্রাচ্যে এখনও ‘ভয়াবহ পরিণতি’ এড়ানো সম্ভব : রাশিয়া

দুই দিনের সফরে ঢাকায় ফলকার টুর্ক

লেবাননে ভয়াবহ ইসরায়েলি হামলা, নিহত অন্তত ৬০

যশোর পৌরসভার উদ্যোগে ১ কোটি টাকা ব্যয়ে শহরের ড্রেন পরিস্কার কাজ শুরু

ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ'র কার্যক্রম বন্ধ করলো ইসরাইল

গোয়ালন্দ উপজেলা আ.লীগের সহ সহ-সভাপতি শহীদুল ইসলাম খান গ্রেফতার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় থানা থেকে লুট হওয়া রিভলবার উদ্ধার

ভিনি নয়,ব্যালন ডি'অর জিতলেন রদ্রি

বর্ষসেরা তরুণের পুরস্কার জিতলেন ইয়ামাল

ব্যালন ডি' অর অনুষ্ঠানে অংশ নেয়নি রিয়াল

কোচ টেন হেগের সময়ে ইউনাইটেডের পরিসংখ্যান কি বলছে?

মাদক থেকে সমাজকে বাঁচাতে হলে কোরআন ও হাদিসের সঠিক শিক্ষা সন্তানদের দিতে হবে -ধর্ম উপদেষ্টা

উৎপাদনে ২১১৩ পোশাক কারখানা, বন্ধ ৬টি

হাবের বার্ষিক সাধারণ সভা চেম্বারকোর্টে স্থগিত

লগি বৈঠার তান্ডবকারীদের বিচার দাবীতে পঞ্চগড়ে গণ অবস্থান

বিশেষ অভিযান জোরদার করার নির্দেশ আইজিপির

‘সংবিধানের দোহাই দিয়ে অযথা সময়ক্ষেপন করবেন না'